বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৯

khayal unhi k aaty hain jin say dil ka rishta ho

ক্লাস থেকে বের হয়ে একটু চিন্তায় পরলাম। পকেটে মাত্র একশ টাকা। সম্বল বলতে এটুকুই। কাল নীরার জন্মদিন। তিন বছর ধরে একসাথে আছি। মেয়েটাকে কখনোই কিছু দেয়া হয়নি। পৃথীবিতে কিছু কিছুমেয়ে আছে যারা অল্পতেই খুশী। নীরাও তাই। ও এমন একটা মেয়ে যার কাছে কিছুই লুকানো যায়না। আর তাই তিন বছরের মধ্যে ওর সামনে কখনো মন খারাপ করতে পারিনি। এমনিতেই ও অনেক বেশি কেয়ারিং।নীরার সাথে আমার পরিচয় ফার্মগেটে।
ইউ-সি-সি তে কোচিং করার সুবাদে। ক্যাডেট কলেজ থেকে বের হয়ে প্রথমেই নিজেকে গুছিয়ে নিতে কিছু সময় লাগে। জীবনের বড় একটা অংশ মেয়েদের কাছ থেকে দূরে থাকারফলে মেয়েদের প্রতি তীব্র কৌতূহল ছিল। যদিও ছেলে হিসেবে আমি বেশ লাজুক প্রকৃতির। একবার কোচিংএর সামনে বসে ফুচকা খাওয়ার পর টাকা দিতে গেলে খেয়াল করলাম পকেটে মানিব্যাগ নেই। এক প্রকার অস্বস্তির মধ্যে পড়লাম।
ছোটবেলা থেকেই আত্মসম্মান বোধটা আমার প্রচন্ড। ফুচকাওয়ালাকে বললাম ‘মামা, মানিব্যাগ ফেলে এসেছি। আমার কাছে টাকা নাই। এই ঘড়িটা রাখুন।’ দোকানী বিজয়ীর হাসি দিল। স্টিভ জবস আইপড আবিস্কার করে যেমন হাসি দিয়েছিলেন অনেকটা সেরকম। জীবনের সেই চরম অপমানজনক অবস্থা থেকে নীরাই আমাকে রক্ষা করেছিল। সেই থেকে একসাথে আছি। জীবনের বাকীটা পথও এভাবেই থাকার ইচ্ছা।মনে মনে একটা হিসেব দাঁড় করালাম। কাল নীরার একুশতম জন্মদিন। শাহবাগ থেকে একুশটা সাদা গোলাপ কিনতে হবে।
আর সাথে নীরার সবচেয়ে পছন্দের কৃষ্ণপক্ষ বইটা। সবমিলিয়ে দেড়শ টাকার মধ্যে হয়ে যাওয়ার কথা। বিকেলে অবশ্য হাতে কিছু টাকা আসবে। প্রথম আলোর সাহিত্য পাতায় গত সপ্তাহে আমার একটা লেখা ছাপা হয়েছিল। তার সম্মানী হিসেবে কিছু পাওয়ার কথা। আসলে ঢাকা শহরে অর্থের কষ্টটা কাউকে বুঝতে দেয়া যায়না। প্রিয় মানুষ গুলোকে তো না ই। আর নীরা যদি জানতে পারে আমার এ অবস্থাতা হলে নির্ঘাত খুন করে ফেলবে। হাতে এক হাজার টাকার নোট ধরিয়ে দিয়ে বলবে ‘ধুর গাধা। ফ্রেন্ডদের কাছে কিছু লুকোতে হয়?’ গত তিনবছরে অনেকবার এমন হয়েছে। যদিও নীরা আমার শুধু বন্ধুই না, বন্ধুর চেয়ে কিছুটা ওপরে।
As  Photography

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

ঘুম হারানো রাত

As Photography............ কখনো যদি এমন হয়- তুমি আর আমি একসাথে আমাদের সব স্বপ্ন পূরণ করবো কখনো যদি এমন হয়- আমি কিছু না বলতেই তুমি সব শুন...