বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৯

ঘুম হারানো রাত

As Photography............






কখনো যদি এমন হয়-
তুমি আর আমি একসাথে আমাদের সব স্বপ্ন পূরণ করবো
কখনো যদি এমন হয়-
আমি কিছু না বলতেই তুমি সব শুনে নেবে
আমাদের চলার পথও এক হয়ে যাবে তখন
আমার হাতের মুঠোয় তোমার উষ্ণ স্পর্শ থাকবে সেদিন
কেন আজ মনে হয় তুমিহিনা অসম্পূর্ণ এ পৃথিবী?
কেন আজ প্রথম প্রেমের শিহরণ তুমিবিনা অসম্পৃক্ত?
সেই তোমার পাশে কাটানো কোন এক বসন্ত
আর ভালবাসার নিঃশ্বাসে জড়িয়ে থাকা মায়াজালের হাতছানি-
আজও প্রতিরাতে আমাকে কাঁদায়
কখনো যদি এমন হয়-
সব শেষের শুরুতে শুধু তুমি আর আমি
আরেকবার হারাবো আমি তোমার বিশ্বাসে
আরেকবার তুমি ফিরবে সেদিন
আগের মতই পেছন থেকে চোখ জড়িয়ে বলবে-
বল তো আমি কে?
আরেকবার আমি তোমার মিষ্টি হাসির প্লাবনে ভেসে যাব
যেদিন মুছে যাবে এসব স্মৃতি,
হৃদয়টা হয়তো পাবে তৃপ্তি
জানি সেদিন ভাসবে চোখে
জীবনের শেষ দৃশ্যটি…
এই পর্যন্ত লিখে ডাইরিটা বন্ধ করে দেয় আবির। অনেকটাই তো লেখা হল, অথচ যার জন্য এতকিছু সে-ই আজ অন্য কারো হয়ে যাচ্ছে, অন্য কেউ আজ থেকে তাকে নিয়ে এমন কিছু লিখবে। ঠিক এমন কিছু নয়, এটা তো আবিরের ভেঙ্গে যাওয়া হৃদয়ের অতল থেকে উঠে আসা অশ্রাব্য চিৎকার। তাকে নিয়ে হয়তো লেখা হবে নতুন করে সাজান একটি ঘরের কাব্য, অথবা একই চাদরে জড়িয়ে থাকা কয়েকটি ভালোবাসারমুহূর্ত যেখানে সে অন্য কারো চোখের নীলে আপন স্বর্গখুঁজে নেবে…
রাত প্রায় ২ টা হতে চলল।এখনো ঘুম আসছে না আবিরের। বাস্তব কারণ- শত জোরাজোরিকরেও আম্মু আজ রাত ৮ টার ওষুধ গেলাতে পারেনি তাকে। আর মানসিক কারণ- আজকে আনিলার বিয়ে।
মাথারভেতরের অসহ্য যন্ত্রণাটাকে পাত্তা না দিয়ে বিছানায় উঠে বসে আবির। পিসি টেবিলের সামনে গিয়ে ল্যাপটপ খুলে বসে। আজকাল প্রায়ই ‘Bypolar Disorder’ নিয়ে ছোটোখাটো গবেষণা করে সে। এতে খুব যে লাভ হয় তা না। সবজায়গায় একই ধরণের কিছু শব্দ তার দিকে আঙ্গুল তাক করে বসে আছে-” আজীবন তোমাকে এই অসুখ নিয়েই বাঁচতে হবে। ওষুধ দিয়ে অনেকটা বড় সময় পর্যন্ত এর অস্তিত্ব ঢেকে রাখা যায়, কিন্তু ওষুধ ছাড়লেই যেই কে সেই”
প্রথম প্রথম আবিরের এই ‘আজীবন’ শব্দটা পড়লেই ভয় হত। আনিলা কি পারবে পুরো পৃথিবীর সাথে এক হাতে যুদ্ধ করে এই বাস্তবতা মেনে নিতে? এই অসুখের জন্য একটানা ৪ বছর পড়াশোনা নষ্ট হওয়া একটি ছেলের প্রতিষ্ঠিত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে থাকতে? বাবা হারানো এই মেয়েটা মায়ের সংসারে সারাজীবন কষ্টই পেয়ে গিয়েছে, সে কি চাইবে অসুস্থ একটা ছেলের ভার নিজের কাঁধে নিয়ে সেই কষ্টের বোঝা বাড়াতে?
এসব দুঃস্বপ্ন এক মুহূর্তেই নাই হয়ে গিয়েছিল যেদিন ধানমণ্ডির রিজবিজের দোকানে বসে কোন এক সন্ধায় আধো আলো আধো ছায়ার মাঝে আবিরের কাঁধে মাথা রেখে আনিলা সরল কণ্ঠে বলেছিল-
” তোমার সবকিছু জেনেই তো আমি তোমাকে ভালবেসেছি। আমার কাছে তো তুমি শুকনো পাতার মত ঝরে পড়া কোন প্রাণ নও। আমার কাছে তুমি ঢাকা ইউনিভার্সিটির ফিনান্সে ৫৭ তম হয়ে চান্স পাওয়া একটা তুখর ছেলে, যেই ছেলের লেখা গান শুনে নবীন বরনে আমি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। ডেইলি স্টারে ছাপান যার প্রতিটি লেখা আমি কেটে রেখে দিতাম আররাতের বেলা পড়ার বই বাদ দিয়ে একই লেখা বারবার পড়তাম”
হ্যাঁ, আনিলা নিজেকে সৌভাগ্যবতী মনে করত। ওর কাছে তখন হয়তো বাস্তবতার চেয়ে আবেগের রাজ্যেরই হাতছানি ছিল বেশি। তাই জীবন আর জগতের নিষ্ঠুরতা বুঝে উঠতে পারেনি। অথবা হয়তো আনিলার মত মানুষের হাত ধরেইনতুন নিষ্ঠুরতার জন্ম হয়।
অস্বাভাবিক মানসিক চাপ এই অসুখের একটা বড় কারণ বলে মনে করা হয়। আবির ছিল বংশের বড় ছেলে, মা-বাবার প্রথম সন্তান। ছোটবেলা থেকেই বাবার ভয়ঙ্কর শাসন মাঝে বেড়ে ওঠা একজন মানুষ।মায়ের স্নেহের যতটুকু ভাগিদার সে ছিল তাও একসময় চাপা পড়ে বাবার ভয়ে ভীত মায়ের অকারন শৃঙ্খলের পিছে। সে ভাল ছাত্র ছিল তাই সবার হয়তো তাকে ঘিরে আকাশচুম্বী প্রত্যাশা ছিল। প্রত্যাশা টা কখন যে তাকে একজন কারাবন্দী মানুষ করে দিয়েছে সেটা হয়তো তার পরিবারের মানুষও বুঝতে উঠতে পারেনি। বহুদিন পর্যন্ত বাবার উপর একটা ক্ষোভ কাজ করত আবিরের। সময়ের সাথে সাথে সেইক্ষোভটাই এই অসুস্থতা আকারে বড় হয়ে দেখা দেয়।
আবির যখন বারবার ইউনিভার্সিটি তে রি-এডমিশন নিয়েও পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছিল না, মিলির মত হীন চরিত্রের একটি মেয়ের পাল্লায় পড়ে যখন পুরো বন্ধুমহলের চোখের বিষ হয়ে গিয়েছিল সে, পরিবারের কারোই যখন আর তাকে নিয়ে আশার বালাই ছিল না ঠিক সেই সময়টাতেআনিলা এসেছিল তার সাদাকালো জীবনটাতে নতুন করে রঙের ছোঁয়া দিতে।
-এই তুমি রাত ৮ টার ওষুধ খাইস?
-না
-কেন না?
-ইচ্ছা হয় নাই, তাই খাই নাই। তোমার কি তাতে?
-আমার কিছুই না। শুধু আমার বাবুটার সাথে সারারাত জেগে বসে থাকতে হবে। আমার জাগতে কোন অসুবিধা নাই, কিন্তু বাবুটাকে গান শুনাতে হবে। আমি জানি বাবুটা গান শুনাবে, কিন্তু বাবুর কাউয়া মার্কা গলা শুনে আমার শ্বশুর- শাশুড়ির ঘুম ভেঙ্গে যাবে- আমার সমস্যাটা এখানেই…
আর আনিলার এসব অকাট্য(???) যুক্তির সামনে আবিরকে সমর্পণ করতে হত।
মাঝে মাঝে আবিরের মনে হত আনিলা না থাকলে আজ হয়তো তার স্থান হত কোনমানসিক হাসপাতালের বিছানায়। তাছাড়া কোন বাসার মানুষই প্রতিদিন ভাঙচুরের শব্দ সহ্য করতে রাজি নয়। ছোটবোনটার পরীক্ষার সময়ও রাত জেগে মাকে পাহারা দিতে হয়েছে কখন না জানি ছেলে উঠে কি করে বসে- এমন ছেলেকে কেই বা ঘরে রাখতে চায়?
আর এখন এই ‘আজীবন’ শব্দটাপড়তেই আবিরের ঠোঁটে একটা বিদ্রুপের হাসি ফুটে ওঠে।আনিলা আজ হেরে গিয়েছে। আজ না, হেরেছে আরও ৩ মাস আগেই যখন আবির আনিলার ফুলার রোডের বাসার সামনে গিয়ে কাঠফাটা রোদের মধ্যে ২ ঘণ্টা দাঁড়িয়েছিল আর আনিলা বাসার নিচে এসে বলেছিল-
”চলে যাও এখান থেকে। আমারপক্ষে আর এই সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব না।আমি পারব না আমার মাকে এত বড় কষ্ট দিতে”
আবির কিছুই বলেনি সেদিন। আনিলার চলে যাওয়ার পথের দিকে তাকিয়ে মনে মনে ভেবেছিল-
”আমি তো বলিনি তোমাকে আমার হৃদয়ে এসে বাসা বাধতে, চাইনি তোমাকে আমার করে পেতে। আমার মোহে অন্ধ তুমি যেদিন আমার মাঝে ধরা দিয়েছিলে সেদিনও কি এই সমাপ্তি ভেবে রেখেছিলে?”
ল্যাপটপটা বন্ধ করে ছোট বোনের রুমের সামনে এসে দাঁড়ায় আবির। ঘরের মধ্যে এই একটামাত্র মানুষ যে কিনা সত্যিকারঅর্থে তাকে বোঝে। বয়স মাত্র ১৭, অথচ কথা বলার সময়মাথা নাড়ে এমনভাবে যেন সবজান্তা শমশের। আবিরের যত গান, কবিতা আর লেখা আছে সবকিছুর প্রথম পাঠকের দাবিদার তিনি।
বোনটার বিছানার পাশে গিয়ে অবাক হয়ে লক্ষ্য করে চোখে জল নিয়ে একটা ছবি বুকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়েছে সে। সেই ছবিতে বাবা- মায়ের পাশে ছোট্ট একটা আবির, সেই আবিরের কোলে অনভ্যস্ত হাতে ধরা ৯ মাস বয়সী অথৈ।
কান্নাটা গলায় এসেআটকে যায় আবিরের। নিজের কাছেই নিজেকে বড্ড অচেনা মনে হতে থাকে তখন। ঘর থেকে বের হয়ে বারান্দায় এসে দাঁড়ায় সে। চোখের সামনে তখন শেষ রাতের তারার ছড়াছড়ি আর মনের মধ্যে নিজেকে বদলে দেয়ার আরেকটা আকুতির হাতছানি।

সুন্দরী প্রতারক

বড় ভাইয়ার জন্য পাত্রী দেখতে গিয়ে বড্ড ঝামেলায় পড়ে গেলাম।
মেয়ে নাকি ভাইয়াকে পছন্দ না করে আমাকেই পছন্দ করে ফেলেছে। ব্যাপারটা সবার কাছে খারাপ মনে হলেও আমি কিন্তু বেজায় খুশি।
একপ্রকার খুশিতে আত্মহারা বলা চলে।
মেয়েটা যখন আমাদের সামনে এসে লাজুক ভঙ্গিতে বসেছিলো, তখনই আমার বুকের বা পাশে ছ্যাৎ করে উঠে। এতো সুন্দরী একটা মেয়েকেই কিনা আমাকে আজীবন ভাবী বলে ডাকতে হয়?
যাক, আমার ভাগ্য সুপ্রসন্ন যে মেয়েটাকে ভাবী না ডেকে জানু ডাকার সুযোগ পেয়ে গেলাম। এইদিকে আমার পরিবারের লোকজন তো খুব চটে আছে মেয়েটার উপর। আমার বড়ভাইকে পছন্দ হয়নি ভালো কথা। কিন্তু যে ছেলে দেখতে গেছে তার ছোটভাই কে কিভাবে পছন্দ হয়? মেয়েটার কি লজ্জা শরম বলতে কিছুই নেই? পরিবারই বা কি শিক্ষা দিয়েছে মেয়েটাকে?
আমাকে পরিবার থেকে সরাসরি বলে দেওয়া হয়েছে, ওই মেয়ের সাথে আমি যেন কোনোরকমের যোগাযোগ না রাখি। এরকম নির্লজ্জ মেয়েকে কখনোই তারা বউ হিসেবে মেনে নিবেনা।
আমিও পরিবারের সবাইকে বলে দিছি, ‘ছিঃ ছিঃ আপনারা কিভাবে ভাবলেন যে এরকম একটা ফালতু মেয়ের সাথে যোগাযোগ রাখবো? আমি তার দেবর হওয়ার কথা, আর সে কিনা আমাকে পছন্দ করেছে’
পরিবারের সবাইতো ভিষণ খুশি। যা হইছে ভালোই হইছে। এরকম একটা নির্লজ্জ মেয়ে ঘরের বউ হয়ে আসলে এই পরিবারের মান সম্মান বলে কিছু থাকতোনা।
আমি কিন্তু গোপনে ঠিকই মেয়েটা মানে জাকিয়ার সাথে যোগাযোগ রেখে চলেছি। নিয়মিত রেস্টুরেন্টে দেখা করছি। সেলফি তুলছি, রিকশায় ঘুরছি, পার্কে বসে গল্প করছি, মোবাইলে কথা বলছি। দিব্যি কাটছে আমাদের দিন গুলো। কিন্তু বারোটা বাজতেছে আমার ম্যানিব্যাগের।
এইদিকে জাকিয়া বিয়ের জন্য জোরাজুরি করা শুরু করলো। কিভাবে যে কি করবো সেটাই বুঝতে পারছিনা। এখনো বড় ভাইয়ার জন্য মেয়ে পছন্দ করে উঠতে পারেনি আমার পরিবার। এরমধ্যে যদি আমার বিয়ের কথা বলি? তাও আবার আমার পরিবারের চোখে নির্লজ্জ মেয়ে জাকিয়াকে, অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে সহজেই অনুমান করা যায়।
পালানো ছাড়া আর কোনো উপায় দেখছিনা। জাকিয়াও আমার সাথে পালাতে রাজি। জাকিয়াট কথা হচ্ছে, ‘যেভাবেই হোক, আমি শুধু তোমাকেই চাই তানজিব। আর কিচ্ছু আমার চাইনা। কিন্তু পালাতে হলে আমাদের কিছু টাকা লাগবেই। সেইদিকে খেয়াল রেখো।’
জাকিয়ার কথায় চিন্তায় পড়ে গেলাম। এই সময় এখন টাকা পাবো কোথায়? এমনিতে এই এক মাসে জাকিয়ার সাথে ঘুরে অনেক টাকা নষ্ট করে ফেলেছি। হঠাৎ মাথায় চলে আসলো ভাইয়ার বিয়ের সময় মেয়েকে দেওয়ার জন্য বানিয়ে রাখা গহনা গুলোর কথা।
ব্যস, অতি সতর্কতার সাথে গহনা গুলো চুরি করে ওই রাতেই আমি আর জাকিয়া পালিয়ে যাই। কিন্তু কোথায় যাবো? সেটাই ভেবে পাচ্ছি না। জাকিয়াকে বললাম চলো একটা হোটেলে থাকি আজকের রাতটা। জাকিয়া রাজি হলোনা। এতো রাতে অবিবাহিত আমরা দুজন হোটেলে গেলে নাকি ঝামেলা হতে পারে। জাকিয়ার নাকি একটা বন্ধু আছে। যে বাসায় এখন একাই আছে। তার বাবা মা গ্রামে বেড়াতে গেছে। আজকের রাতটা ওখানে কাটিয়ে সকালেই আমরা কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করে নিব। তারপর অন্য কোনো ব্যবস্থা করা যাবে।
আমি ভাবছিলাম জাকিয়ার বন্ধু হয়তো কোনো মেয়ে। এখন দেখি জাকিয়ার বন্ধু একটা ছেলে। বেশ হ্যান্ডসাম ও স্মার্ট।
যাইহোক, আমি আর জাকিয়ার বন্ধু শুইলাম এক রুমে, আর জাকিয়া শুইলো আরেক রুমে। জাকিয়ার বন্ধুর ঘুম চলে আসলেও আমার একটুও ঘুম আসছেনা। এতো সুন্দরী একটা মেয়ে সকাল হলেই আমার বউ হতে যাচ্ছে, ভাবতেই কেমন শিহরন লাগছে। হঠাৎ করে জাকিয়ার বন্ধু চোখ খুলে ঠাট্টা করে বললো, ‘কাল তো বিয়ে করছেনই। এখন একটু ঘুমানতো’
আমি লজ্জা পেয়ে গেলাম। আর চোখ বন্ধ করলাম। সারাদিন অনেক দখল গেছে। সত্যি একটু ঘুমানো দরকার।
ঘুম ভেঙে দেখি সকাল হয়ে গেছে। তাড়াতাড়ি লাফ দিয়ে উঠে পড়লাম। কিন্তু এ কি? বালিশের পাশে রাখা মোবাইল টা পাচ্ছি না। খাটের পাশে রাখা ব্যাগটা নেই। জাকিয়ার বন্ধু কেও দেখতে পাচ্ছি না। জাকিয়ার রুমে গিয়ে দেখি জাকিয়াও নেই।
জাকিয়ার খাটে দেখি একটা সাদা কাগজ কি সব লেখা।
হাতে নিয়ে পড়তে লাগলাম।
‘তুমি মানুষটা ভিষণ ভালো। তোমার প্রতি আমরা দুজনে কৃতজ্ঞ সারাজীবনের জন্য। তোমাকে মন থেকে হাজারবার ধন্যবাদ। তোমাকে দেখতেই কেমন ইনোচেন্ট লাগে। তাই তোমাকেই আমি টার্গেট করি। আমাকে দেখতে আসা সম্বন্ধ ভাঙ্গা। আমাদের বিয়ের জন্য টাকা জোগাড় করা সব তোমার জন্যই সম্ভব হয়েছে। কোনো একদিন তোমাকে এক বেলা খাওয়ার জন্য দাওয়াত করবো। মন খারাপ করোনা লক্ষিটি’
কাগজ টা পড়ার পর মনে পড়ে গেল এক ভন্ড বাবার কথা। মাঝে মাঝে ভন্ডদের কথাও সত্যি হয়। ভন্ড বাবা বলেছিলেন, ‘সুন্দরীদের কখনো বিশ্বাস করতে নেই’


As Photography

khayal unhi k aaty hain jin say dil ka rishta ho

ক্লাস থেকে বের হয়ে একটু চিন্তায় পরলাম। পকেটে মাত্র একশ টাকা। সম্বল বলতে এটুকুই। কাল নীরার জন্মদিন। তিন বছর ধরে একসাথে আছি। মেয়েটাকে কখনোই কিছু দেয়া হয়নি। পৃথীবিতে কিছু কিছুমেয়ে আছে যারা অল্পতেই খুশী। নীরাও তাই। ও এমন একটা মেয়ে যার কাছে কিছুই লুকানো যায়না। আর তাই তিন বছরের মধ্যে ওর সামনে কখনো মন খারাপ করতে পারিনি। এমনিতেই ও অনেক বেশি কেয়ারিং।নীরার সাথে আমার পরিচয় ফার্মগেটে।
ইউ-সি-সি তে কোচিং করার সুবাদে। ক্যাডেট কলেজ থেকে বের হয়ে প্রথমেই নিজেকে গুছিয়ে নিতে কিছু সময় লাগে। জীবনের বড় একটা অংশ মেয়েদের কাছ থেকে দূরে থাকারফলে মেয়েদের প্রতি তীব্র কৌতূহল ছিল। যদিও ছেলে হিসেবে আমি বেশ লাজুক প্রকৃতির। একবার কোচিংএর সামনে বসে ফুচকা খাওয়ার পর টাকা দিতে গেলে খেয়াল করলাম পকেটে মানিব্যাগ নেই। এক প্রকার অস্বস্তির মধ্যে পড়লাম।
ছোটবেলা থেকেই আত্মসম্মান বোধটা আমার প্রচন্ড। ফুচকাওয়ালাকে বললাম ‘মামা, মানিব্যাগ ফেলে এসেছি। আমার কাছে টাকা নাই। এই ঘড়িটা রাখুন।’ দোকানী বিজয়ীর হাসি দিল। স্টিভ জবস আইপড আবিস্কার করে যেমন হাসি দিয়েছিলেন অনেকটা সেরকম। জীবনের সেই চরম অপমানজনক অবস্থা থেকে নীরাই আমাকে রক্ষা করেছিল। সেই থেকে একসাথে আছি। জীবনের বাকীটা পথও এভাবেই থাকার ইচ্ছা।মনে মনে একটা হিসেব দাঁড় করালাম। কাল নীরার একুশতম জন্মদিন। শাহবাগ থেকে একুশটা সাদা গোলাপ কিনতে হবে।
আর সাথে নীরার সবচেয়ে পছন্দের কৃষ্ণপক্ষ বইটা। সবমিলিয়ে দেড়শ টাকার মধ্যে হয়ে যাওয়ার কথা। বিকেলে অবশ্য হাতে কিছু টাকা আসবে। প্রথম আলোর সাহিত্য পাতায় গত সপ্তাহে আমার একটা লেখা ছাপা হয়েছিল। তার সম্মানী হিসেবে কিছু পাওয়ার কথা। আসলে ঢাকা শহরে অর্থের কষ্টটা কাউকে বুঝতে দেয়া যায়না। প্রিয় মানুষ গুলোকে তো না ই। আর নীরা যদি জানতে পারে আমার এ অবস্থাতা হলে নির্ঘাত খুন করে ফেলবে। হাতে এক হাজার টাকার নোট ধরিয়ে দিয়ে বলবে ‘ধুর গাধা। ফ্রেন্ডদের কাছে কিছু লুকোতে হয়?’ গত তিনবছরে অনেকবার এমন হয়েছে। যদিও নীরা আমার শুধু বন্ধুই না, বন্ধুর চেয়ে কিছুটা ওপরে।
As  Photography

I Want You To Hug Me When I Get Scared. I Want You To Kiss Me When I Act Like A Kid. I Want You To Care For Me When I'm Sick. I Want You To Listen To Me When I Wanna Say Something. I Want You To Understand My Silence When I Don't Have Words To Express What I Feel. I Want You To Be There When I Need A Friend. I Want You To Love Me For What I'm. And Above All I Want You To Complete Me.

As Photography

Our aim in life should be: 9 8 7 6 5 4 3 2 1 0 9-glass drinking water. 8-hrs sound sleep. 7-wonders tour with family. 6-six digit income. 5-days work a week 4-wheeler. 3-bedroom flat 2-cute children. 1-sweetheart. 0-tension!

As Photography

Pain Makes you Stronger. Tears Makes you braver. Heartbreak Makes you wiser. So Thank The past for a better future.

You’re my heart’s song. You’re my muse. I love you, baby.

শুক্রবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

ঘুম হারানো রাত

As Photography............ কখনো যদি এমন হয়- তুমি আর আমি একসাথে আমাদের সব স্বপ্ন পূরণ করবো কখনো যদি এমন হয়- আমি কিছু না বলতেই তুমি সব শুন...